লিবিয়ায় মানবপাচারের ভয়াবহতা, গণকবর থেকে মরদেহ উদ্ধার

লিবিয়ায় মানবপাচারের ভয়াবহতা, গণকবর থেকে মরদেহ উদ্ধার
লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশটির দক্ষিণ-পূর্ব মরুভূমি থেকে দুটি গণকবর থেকে প্রায় ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। এটি ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য একটি নতুন মর্মান্তিক ঘটনা। শুক্রবার কুফরা শহরের একটি খামারে প্রথম গণকবরটি আবিষ্কৃত হয়, যেখানে ১৯টি মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, বেশ কয়েকজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। কুফরার মানবপাচার চক্রের একটি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে দ্বিতীয় গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়, যেখানে অন্তত ৩০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে, স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের তথ্য অনুযায়ী, এখানে প্রায় ৭০ জনকে দাফন করা হয়েছে। মানবপাচার কেন্দ্র থেকে ৭৬ জন অভিবাসীকে মুক্ত করা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। লিবিয়া, যা আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপে যাওয়ার প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট, ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। মানবপাচারকারীরা এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিবাসীদের পাচার করছে এবং ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য তাদের বিপজ্জনক পথ বেছে নিতে বাধ্য করছে। জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো লিবিয়ায় অভিবাসীদের ওপর চলমান নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম, ধর্ষণ ও নিপীড়নের ঘটনা নথিভুক্ত করছে, এবং মানবপাচারকারীরা অভিবাসীদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করছে।